পর্ণোগ্রাফি এবং হস্তমৈথুন থেকে মুক্তির উপায়
আজকাল অনেক ছেলে-মেয়ে পর্ণোগ্রাফিতে আসক্ত। বর্তমানে এমন কোনো যুবক/যুবতী,কিশোর/কিশোরী নেই যারা জীবনে কখনোই পর্ণ ভিডিও দেখে নাই! বলছি, যাদের পার্সনাল মোবাইল রয়েছে তাদের কথা। হ্যাঁ, মোবাইল ফোনই এসবের জন্য দায়ী,বলা যায়! কই, পুরোনো দিনের মানুষরাতো এসবের মধ্যে নেই। অর্থাৎ, তাঁরা পর্ণ ভিডিও দেখে নাই! কারণ,তারা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে নাই বা করে না।
এখন আসা যাক,মাস্টারবেশন ( Masturbation ) বা হস্তমৈথুনের ব্যাপারে। স্বাভাবিকভাবেই, পর্ণ ভিডিও দেখলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সেই উত্তেজনা থেকেই হস্তমৈথুনের সৃষ্টি! ছেলে-মেয়ে উভয়েই হস্তমৈথুন করে। তবে মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের সংখ্যাটা তুলনামূলকভাবে খুবই বেশি।বর্তমানে কেউ কেউ হস্তমৈথুন শব্দটিকে হাত-মারা বলে থাকে! শুনতে খারাপ হলেও, এই কথাটির দ্বারা মূলত হস্তমৈথুনকে ইঙ্গিত করে থাকে। আবার কেউ কেউ বলে গিটার বাজানো ! যে যাই বলুক, হস্তমৈথুন শব্দটি অজানা মনে হলেও, উপরের দুইটি শব্দ (হাতমারা,গিটার বাজানো) কখনো না কখনো কোনোভাবে শুনেছেন।
শুধু পর্ণ ভিডিও দেখেই যে হস্তমৈথুনের সৃষ্টি তা কিন্তু নয়। আরো কিছু কারণ রয়েছে। যেমন- নিজের মস্তিস্কে খারাপ চিন্তার ঘুরপাক, কোনো মেয়ের প্রতি অশালীন দৃষ্টি (কিছু ক্ষেত্রে), টিভিতে খারাপ নাচ বা মুভি দেখাসহ আরো জানা-অজানা কারণ রয়েছে।তবে, সবগুলোর চেয়ে,এই কারণগুলোই বেশি লক্ষ্যণীয়।
এখন আসা যাক মূল কথায়। সেটি হচ্ছে, কিভাবে এই পর্ণোগ্রাফি বা খারাপ ভিডিও দেখা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখবেন এবং হস্তমৈথুন ছাড়বেন-
সর্বপ্রথম, নিজের মস্তিস্কে কখনোই অশ্লীল বা খারাপ চিন্তা আনা যাবে না। খারাপ চিন্তার, আবির্ভাব ঘটলেই, নিজেকে কোনো কাজে ব্যস্ত রাখুন। হাতে মোবাইল থাকলে, প্রিয় গেমটি চালু করে, গেইম খেলায় মনযোগ দিন। তবে সবচেয়ে ভালো হয়, মোবাইল ফোনটি হাতের কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়া। আর যদি রাতের অন্ধকারে খারাপ চিন্তার আবির্ভাব ঘটে, তখন রুমের লাইট জ্বালিয়ে এক গ্লাস পানি খেয়ে নিন এবং নিজের জীবনের স্বরণীয় ঘটনাগুলো কল্পনা করুন। দেখবেন, মন ভালো হয়ে যাবে এবং আবেগাপ্লুত হয়ে যাবেন!
মুসলিম হয়ে থাকলে, নামাজ পড়ুন এবং হুজুরের থেকে পর্ণোগ্রাফির ক্ষতিকারক দিক জেনে নিন, পরকালে কী হতে পারে। অন্য ধর্মের হলে, ধর্মীয় কাজ করুন এবং রীতিনীতি পালন করুন।
=== অতিরিক্ত পর্ণ আসক্তি কমাবেন যেভাবে ==
>> সপ্তাহে ৭ দিন হস্তমৈথুন করলে, প্রথম সপ্তাহে ৩/৪ দিন , পরবর্তী সপ্তাহে ২/৩ দিন , তৃতীয় সপ্তাহে ১ দিন এবং শেষ সপ্তাহে নিজেকে কন্ট্রোলে আনার চেষ্টা করুন।অবশ্যই সফলতা আসবে। নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পারলে, হতাশ হবেন না। কারণ, মানুষের আসক্তি খুব সহজেই কমতে বা যেতে চায় না। তবে, চেষ্টা করলে সবই সম্ভব। চেষ্টা করুন, অবশ্যই সফল হবেন ।যদি সব চেষ্টা বৃথা যায়, তাহলে ভালো একজন যৌন ডাক্তারের সরণাপন্ন হোন। ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন। আশাকরি সফলতা আসবে।
তবুও সফল না হলে, নিজের বিবেককে প্রশ্ন করুন।
ভবিষ্যতে যখন স্বামী-স্ত্রী মিলিত হবেন, তখন কী হবে?
শুক্রাণু ক্ষয়ের ফলে বাচ্চা হবে কিনা ?
লিঙ্গে ব্যথা অনুভব হয় কিজন্য ?
চোখে ঝাপসা দেখা যায় কেনো?
শরীর ক্লান্ত বা রোগা-পাতলা থাকে কি কারণে?
মাঝে মাঝে মাথা ভার বা ব্যথা হয়ে থাকে কেনো?
পেটের নীচে ব্যথা অনুভব হয় কেনো?
লিঙ্গ আগের মতো স্ট্রং থাকে না কি কারণে?
উত্তেজনা দিন দিন কমছে এবং আকর্ষণীয়তা কমছে কি কারণে?
এসব প্রশ্নের জবাব বা উত্তর আপনার কাছেই আছে। কিন্তু, তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না। ভবিষ্যতের জন্য হলেও, এই খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকুন।
লেখক: আসাদুর রহমান (B.Sc.)
(নিজস্ব অভিজ্ঞতার আলোকে লিখেছি, আশাকরি আপনাদের জন্য লিখাগুলো কাজে আসবে। ধন্যবাদ)
Comments
Post a Comment